নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আরও দুইজনকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। রোববার (৪ জুন) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মৃত মিন্টু মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও মহিউদ্দিনের ছেলে নেসার আলী (৫৫)। খালাসপ্রাপ্ত দুইজন হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার মৃত হোসেন প্রধানের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও বন্দরের হুমায়ুন কবিরের ছেলে রাহুল।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ রাকিব বলেন, ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন এবং একই সঙ্গে দুইজনকে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর (১৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করে জানা যায় অজ্ঞাত কিশোরী চৌরাপাড়া এলাকার মতিনের ভাড়াটিয়া মজনুর মেয়ে মুনমুন।
মজনুর আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মুনমুনকে রাসেল বিয়ের কথা বলেছিল। কিন্তু তার কাছে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় আসামী রাসেল ও তার সহযোগীরা মিলে মুনমুনকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সকল আসামীদের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।